রাঙামাটি প্রতিনিধি : ভারত সীমান্তবর্তী রাঙামাটি সাজেক থেকে বান্দরবানের থানচি পর্যন্ত ৩০০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথে তিন দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু ট্যুর ডি সিএইচটি বাইক মাউন্টেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর ডি সিএইচটি এমটিবি চ্যালেঞ্জ ২০২০’ নামে এই প্রতিযোগিতা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনসহ তিন পার্বত্য জেলার সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো। ৩০০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দেওয়ার এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তিন পার্বত্য জেলা থেকে ৪৫ জন এবং দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ৫৫ জনসহ সর্বমোট ১০০ জন ক্রীড়াপ্রেমী সাইক্লিস্টস অংশগ্রহণ করছে।
সাজেকের রুইলুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সফিকুল আহম্মদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষতি আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্থানীয় পর্যটন বিকাশে এই ধরনের প্রতিযোগিতা খুব কার্যকরি। ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে এই অঞ্চলকে বিশ্ববাসীর তুলে ধরার মাধ্যমে স্থানীয় অধিবাসীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। ২৮ ডিসেম্বর রাঙামাটি ম্যারী ষ্টেডিয়াম সকালে বান্দরবান ষ্টেডিয়ামে শেষেসাইক্লিস্ট পৌছবে । ২৯ ডিসেম্বর শেষেসাইক্লিস্টরা বান্দরবান থেকে থানচি যাত্রা শুরু করবে।
আয়োজক পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড জানায় , রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার ‘সাজেক ভ্যালি’ থেকে তিনদিনের মাউন্টেইন বাইক প্রতিযোগিতা কর্মসূচির সোমবার প্রথম দিন সকাল আটটায় ‘সাজেক ভ্যালি’ থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষেসাইক্লিস্ট প্রধম ধাপে ‘সাজেক ভ্যালি’ হতে রাঙামাটি চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়াম পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিবে। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল আটটায় রাঙামাটি চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়াম হতে বান্দরবান স্টেডিয়াম পর্যন্ত তারা ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাহাড়ি পথ পাড়ি দিবে। শেষ দিন বুধবার বান্দরবান স্টেডিয়াম থেকে থানচির সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে শেষ হবে তিন দিনের এই আনুষ্ঠানিকতা।
আয়োজকরা আরো জানায়, ১০০ সাইক্লিস্ট তিনদিনে ৩০০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দেওয়ার পর শেষদিন সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে। এর মধ্যে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নকে ৩ লাখ টাকা, প্রথম রানারআপকে ২ লাখ টাকা, দ্বিতীয় রানারআপকে ১ লাখ টাকা, বিশেষ পুরস্কার হিসেবে দেড় লাখ টাকাসহ মোট ৭ লাখ টাকার পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। এছাড়া সফল প্রতিযোগীদের সকলকে সনদপত্র, মেডেল, ক্রেস্ট প্রদান করা হবে।##